WELCOME TO MY BLOG "সনাতন বৈদিক ধর্ম" AND SEE SOMETHING NEW

আমাদের নিবেদন

           

ওঁ সন্মানিত সুধী, সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষক শিক্ষিকা তথা শিক্ষিত সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যে জাতি যত বেশী শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত কথাটি ধ্রুব সত্য কথা। সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে। তবে শিক্ষা হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন। বাংলা শিক্ষা শব্দটি এসেছে ‍'শাস' ধাতু থেকে। যার অর্থ শাসন করা বা উপদেশ দান করা। অন্যদিকে শিক্ষার ইংরেজি প্রতিশব্দ এডুকেশনএসেছে ল্যাটিন শব্দ এডুকেয়ার বা এডুকাতুম থেকে। যার অর্থ বের করে আনা অর্থাৎ ভেতরের সম্ভাবনাকে বাইরে বের করে নিয়ে আসা বা বিকশিত করা। সক্রেটিসের ভাষায় “শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ।” এরিস্টটল বলেন “সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল শিক্ষা”। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় “শিক্ষা হল তাই যা আমাদের কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে।” কিন্তু সনাতন যথেষ্ট শিক্ষিত হওয়া সত্যেও আজ দিন দিন নির্যাতিত নিপীড়িত ও শোষিত হচ্ছে, এর কারন কি? 'ধর্ম' হচ্ছে কোন কিছুর গুণ বা বৈশিষ্ট্য। জলের ধর্ম তারল্য, অগ্নির ধর্ম তাপ; তেমনিভাবে মানুষের ধর্ম হচ্ছে মনুষ্যত্ব। জলের ধর্ম যেমন জল নিজে সৃষ্টি করেনি বা এমনি এমনি সৃষ্টি হয়নি; ঠিক তেমনিভাবে মানুষের ধর্মও মানুষ নিজে সৃষ্টি করেনি, করেছেন ঈশ্বর। তাই প্রকৃতপক্ষে, ধর্ম হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য পোষণের পাশাপাশি মনুষ্যত্বের বিকাশ করা। তাই ধর্মকে কিছু জাতিগত প্রথা ও সাম্প্রদায়িক মতাদর্শের মধ্যে সীমাবদ্ধ করাটা উচিৎ নয়। নিজের মনুষ্যত্ব বজায় রেখে, নিজের সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখা, ও একটি আধ্যাত্মিক আদর্শ অনুসরণ করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করাটাই প্রকৃত ধর্ম।মনু বলেছেন “বেদঃ অখিলধর্ম মূলম্” অর্থাৎ বেদ সমস্ত ধর্মের মূল।সনাতন ধর্মালম্বী সকল বর্ণের মানুষ আজ তার সংবিধান পবিত্র বেদ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। চারিদিকে বেদ মন্ত্রের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জন্ম নিচ্ছে যত্র তত্র ঈশ্বর, ভগবান, গুরুবাদ ব্রাহ্মনবাদ, নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারনে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে মূল সনাতন ধর্ম। এর থেকে পরিত্রান না পেলে অদূর ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়বে সনাতন নামের হিন্দু সমাজ।একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর মা বাবাই তার ঈশ্বর, ভগবান, দেবতা এর পরের স্তরটা (সমাজ স্বীকৃত )। এ দায় আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।সনাতন সমাজের এই ক্রান্তি লগ্নে, বেদ গীতার সঠিক ব্যাখ্যা অনুশীলন করে সত্য কে ধারণ করে জ্ঞানের প্রসার ঘটনো আপনার দায়িত্ব। কেননা চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণ কর্মবিভাগশঃ (গীতা ৪ অধ্যায়ের ১৩ নং শ্লোক) অর্থাৎ গুন এবং কর্ম অনুযায়ী আমাদের চারটি বর্ণের যে জ্ঞান আরোপ করা হয়েছে সেখানে আপনি ব্রাহ্মণ এবং ব্রহ্মণোহস্য মুখমাসীদ (যজুর্বেদ ৩১/১১) আপনি ব্রাহ্মণ কেননা আমার বৈদিক সংস্কৃতিতে বলা হয়েছে যারা জ্ঞানের দ্বারা সমাজ পরিচালনা করেন তারাই ব্রাহ্মণ, গীতা অনুসারে ব্রাহ্মণের ৯ টি গুন থাকা আবশ্যক(গীতা ১৮নং অধ্যায় ৪২নং শ্লোক)।উক্ত শ্লোকে সুপ্ত থাকা অর্থ এবং মনুসংহিতাতে স্পষ্ট লেখা ২/২৮ অনুযায়ী নিম্নোক্ত সামান্য গুন পালন করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি, ১।বেদ পাঠ করা এবং ২।বেদ পাঠ করানো। পবিত্র বেদের সকল সঠিক তথ্য উপস্থাপনা এবং আপনার হাতে পৌঁছানোর এর দায়িত্ব আমাদের ( বৈদিক কণ্ঠের)। সত্য মিথ্যা বিচারের ভার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পবিত্র বেদের নৈতিক জ্ঞান শিক্ষার দায়িত্ব আপনার

No comments:

Post a Comment