WELCOME TO MY BLOG "সনাতন বৈদিক ধর্ম" AND SEE SOMETHING NEW

Sunday, September 27, 2020

বিবর্তনবাদ খণ্ডন



সাধারণ জ্ঞান দ্বারা বিবর্তনবাদ খণ্ডন 

👉 বিবর্তনবাদ বলে যে পাখিদের ডানা পূর্বে ছিল না কিন্তু যখন পাখিরা নানান জন্তুর থেকে নিজেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিল উড়ার চেষ্টা করেছিল তখন তাদের ডানা তৈরি হয়েছে। এই অনুযায়ী বলা যায় যে প্রথমে বনমনুষ্যও তো  জঙ্গলে জন্মেছিল তারাও তো বাঘ, সিংহ, ভাল্লুকদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল তো তাদের কেন পাখির মতো ডানার বিবর্তন হয়নি ? মানুষেরও তো ডানা থাকা উচিত ছিল ? 

বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানান উদ্দেশ্যে সাপদের ধরা হয় এবং হত্যাও করা হয় তা সাপ কি নিজেকে রক্ষা করার চেস্টা করেনা ? আর যদি করেও থাকে তাহলে আজও কেন সাপের কোনো হাত পা তৈরি হয়নি, যাতে সাপ নিজেকে রক্ষা করতে পারে ? 

👉 বিশ্বের প্রায় ৯৮% মানুষ মাংস, মাছ আহার করে।  গরু, শুয়োর, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, মাছ আদিকে হত্যা করে ভক্ষণ করে, তা আজও কেন এই সমস্ত জীবের মধ্যে  কোনো বিবর্তন হলো না যাতে তারা আমাদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে ? তারাও তো নিজের জীবন কে বাঁচানোর চেষ্টা করে তবুও কেন বিবর্তন হলো না ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বিবর্তনবাদিদের কাছে নেই। 

👉 বিবর্তনবাদ বলে যে যে জিনিসের ব্যবহার করা হয়না তা লুপ্ত হয়ে যায় যেমন মনুষ্যের লেজ লুপ্ত হয়েছে।। এখানে প্রশ্ন তৈরি হয় যে বাদর তার দিয়ে কি কাজ করে ? যদি বলো যে "বাদর লাফিয়ে বেড়ায় তাই তাদের লেজ আছে"। তো মনুষ্য কি লাফিয়ে বেড়ানো বন্ধ করেছে ? বাঁদরের চেয়েও মনুষ্য বেশি কাজ করে,  তো মনুষ্যের লেজ কেন লুপ্ত হলো ?

👉 বিরবর্তনবাদ বলে যে একসময় জিরাফের গলা এই কারণেই লম্বা হয়েছে যে একসময় মাটির ঘাস শুকে গিয়েছিল তখন জিরাফ গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করেছিল কাজেই তাদের গলা লম্বা হয়ে গেছে।। বিরবর্তনবাদের ছাগলামী কথনের মধ্যে অন্যতম হল এই কথন টি, এই মূর্খরা জিরাফের গলার কাহিনী কল্পনা করতে গিয়ে এইটা ভুলে যায় যে জঙ্গলে তো শুধু জিরাফ থাকেনা গরু, মহিষ, হরিণ আদি নানান জীব থাকে তারাও ঘাস খায়। তো ঘাস শুকে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র জিরাফের গলা লম্বা হল কেন গরু, মহিষ, হরিণ গণ্ডারের তো জিরাফের মতো গলা লম্বা হওয়া উচিত ছিল, তাহলে এদের গলা কেন লম্বা হয়নি ? আর কত বছর ধরে মাটির ঘাস শুকনো অবস্থায় ছিল ? কত বছর ধরে জিরাফের গলা লম্বা হয়েছিল ? জিরাফের গলা লম্বা না হওয়ার আগে সে কি খেয়ে বেঁচে ছিল ? উত্তর আছে ? 

 লক্ষ করে দেখবে যে ছাগলও মাঝে মাঝে সামনের দুটি পা উঁচু করে গাছের পাতা খায় তা আজ পর্যন্ত ছাগলের গলা জিরাফের মতো কেন লম্বা হলো না ? 

👉 বর্ষাকালে নানান পতঙ্গ আগুনের দিকে ছুটে যায় আর তাদের মৃত্যু হয় । তা আজ পর্যন্ত এই পতঙ্গ সমস্ত পতঙ্গ গুলোর জ্ঞানের বিবর্তন কেন হলো না ? উত্তর আছে ? 

👉 বিবর্তনবাদের সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো এই যে সমস্ত জীবের বিবর্তন হলো কিন্তু মনুষ্যের কাছে এসে থেমে গেল, আর মনুষ্যের আর কোনো ভাবেও বিবর্তন হচ্ছে না, এমন কেন ? 

বিবর্তনবাদ একটি মহান মিথ্যার তত্ত্ব যা পুরোই যুক্তিহীন, বিবর্তনবাদ কে বহু বিজ্ঞানী খণ্ডন করেছে তাদের মধ্যে একজন অন্যতম হল "স্যার রিচার্ড ওয়েন" যিনি এক বিখ্যাত জীবাশ্ম বিষয়ক বিজ্ঞানী ছিলেন । ইনি বিবর্তনবাদের ঘোর বিরোধী ছিলেন, আজ আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে এই মূর্খতা পূর্ণ বিবর্তনবাদ কে ছোট থেকে বড় ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো হয়, কিন্তু কোথাও পড়ানো হয়না যে এই বিবর্তনবাদ কে অনেক বিজ্ঞানী খণ্ডনও করেছে, এমন কেন ?

অর্থাৎ বলা যায় মিথ্যার ওপরেও এখন বিজ্ঞান চলছে ! এই সমস্ত নাস্তিক কথিত বিজ্ঞানীরা বুক ফুলে বলে যে ধার্মিকরা অন্ধবিশ্বাসী, যুক্তিহীন বিষয়কে বিশ্বাস করে, তা আজ বিবর্তনবাদের মতো মিথ্যা বিষয় কে মেনে চলা বিজ্ঞানী আর একটি অন্ধবিশ্বাসী কথিত ধর্মীকের পার্থক্য  থাকলো কোথায় ? একই অবস্থা ।




No comments:

Post a Comment