মুসলিম , শৈব , খ্রিস্টান , নাস্তিক ইত্যাদি মাংসাশী প্রাণীরা শাখাহারিদের বিরুদ্ধে এই কথন ব্যবহার করে থাকেন যে "গাছেরও তো আত্মা বা প্রাণ আছে তবুও কেন এগুলোকে হত্যা করে খাওয়া হয় , গাছেরও তো দুঃখ কষ্ট হয় ।"
ওদের কথার তাৎপর্য এই দাঁড়ায় যে গরু, ছাগল ইত্যাদি হত্যা করলে যেমন দুঃখ কষ্ট হয় ঠিক তেমনি গাছেরও হয় । তাই গরু , ছাগল , উট , মুরগি ইত্যাদিকে হত্যা করে খাওয়া আর গাছ কে হত্যা করে খাওয়া একই ব্যাপার ।
গাছের যে প্রাণ আছে ইহা আধুনিকে সর্বপ্রথম তুলে ধরেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু , কিন্তু আমাদের শাস্ত্রতে এই বিষয়টি কোটি কোটি বছর আগের থেকেই বর্ণিত ছিল , এবং তা লিখে গেছেন মহর্ষি মনু মহারাজ । মনুস্মৃতি - ১২ / ৯ তে লেখা আছে যে মনুষ্য যখন চুরি , পরস্ত্রী গমন প্রভৃতি নানান পাপ আচরণ করে , তখন তার বৃক্ষ আদি স্থাবর জন্ম প্রাপ্ত হয় ।
আমাদের আর্য সমাজের এক মহান বিদ্বান আচার্য অগ্নিব্রত নৈষ্টিক জী একটি গ্রন্থ লিখেছেন যার নাম "মাংসাহার" এই গ্রন্থে তিনি শাস্ত্রীয় প্রমাণ এবং নানান বৈজ্ঞানিক কথন - যুক্তি তুলে ধরেছেন প্রমান হিসেবে মাংস আহারের বিরুদ্ধে এবং শাখ আহারের স্বপক্ষে । তিনি লিখেছেন যে -
"বৃক্ষের অবশ্যই জীবাত্মা আছে কিন্তু বৃক্ষ মহাসুষুপ্তি ( মহান গভীর নিন্দ্রা ) অবস্থায় থাকে, ইহার কারণে তার সুখ-দুঃখ অনুভব হয়না , বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসুর প্রয়োগের ফল অনুযায়ী এরূপ বলা যায় যে বৃক্ষকে কাটার ফলে উহাতে এক প্রকারের ক্রিয়া হয়, কিন্তু আমাদের মতো সুখ দুঃখের অনুভব হয় না ।"
গ্রন্থ - মাংসাহার, পৃষ্ঠা ১৯
"মাংসাহার" গ্রন্থটির PDF Link নিচে দিয়ে দিলাম প্রয়োজনে
বিস্তারিত দেখুন 👇👇👇
https:// মাংসাহার PDF Link
উক্ত বিচার দ্বারা বলা যায় যে ছাগল, গরু আদিকে হত্যা করে খাওয়া আর গাছকে হত্যা করে খাওয়া দুইয়ের মধ্যে অনেকখানি পার্থক্য । সবচেয়ে জ্ঞানী জীব মনুষ্যের আহারের জন্যই পরমাত্মা গাছ কে অন্যান্য জীব থেকে ভিন্ন প্রকারের বানিয়েছে ।
"ওঁম শান্তি শান্তি শান্তি"
🙏নমস্তে 🙏
মাংসাহার বই টার লিঙ্ক টা দিলে ভালো হতো
ReplyDeleteবইটি হিন্দি ।
Deleteহ্যাঁ দেখেছি কিন্তু বাংলা আছে ?
Deleteএখন দেখুন দিয়ে দিয়েছি দাদা
ReplyDeleteআচ্ছা
Deleteসংশোধন করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা
ReplyDelete